মোঃ কামাল হোসেন, অভয়নগরঃ ২৫ মার্চ ২০২৩ , ১২:১৩:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ
সম্প্রতি পবিত্র রমজানের অজুহাতে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কবলে অভয়নগরের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। ফলে দ্রব্যমূল্য আশংকা জনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার গণসচেতনার সৃষ্টি ও দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির বিষয়ে ব্যবসায়ীদের প্রতি কঠোর বার্তা দিলেও অভয়নগরের কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দ্রব্য জিনিস পত্রের দাম হুহু করে বাড়িয়ে চলেছে। যে কারনে সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়ছে। ফলে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের সকল প্রকার জিনিসপত্র ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে শিল্প শহর নওয়াপাড়া সহ অভয়নগরের গ্রাম গনজের সকল হাট-বাজারে দ্রব্যমূল্যে ধাম ধাম করে বেড়ে গেছে।
উপজেলায় বিভিন্ন হাট-বাজারে পরিদর্শন করে দ্রব্যমূল্য দাম জানাগেছে বেগুন ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, টমেটো ২০ টাকা, পেঁয়াজ ৪৫ টাকা, আলু ২৫ টাকা, রসূন ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ওই একই পণ্য ১ দিন ব্যবধানে কেজি প্রতি ১৫ থেকে ২৫ টাকা বেশি দরে বিক্রি করছে সবজি বিক্রেতারা। অন্যদিকে মাছ মাংসের কথা তো বলার অপেক্ষা রাখেনা। গরুর মাংস ৭০০ টাকা কেজি ও বয়লার মুরগীর মূল্য আকাশ ছোয়া হু হু করে বেড়ে ২৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। একদিনের ব্যবধানে রমজান আসার সাথে সাথে দ্রব্যমূল্যর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রেতা সাধারণের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
কোথাও কোথাও ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ও ঘটেছে।নওয়াপাড়া গ্ৰামের সিদ্দিকুর রহমান ক্ষোভের সাথে জানান, চায়না মশার কয়েল কিনেছি ৫৫ টাকা দিয়ে আজ এসে সেই কয়েল ১১০ টাকা এরকম হলে আমরা কি ভাবে বেঁচে থাকবো। তিনি আরো জানান, সকালে রসূন কিনেছি ৭০ টাকা কেজি দরে সেই একই রসূন ১ ঘন্টার ব্যবধানে বিক্রি করা হচ্ছে ৯০/১০০ টাকা কেজি দরে। শংকরপাশা গ্রামের আব্দুল মকলেছুর রহমান জানান বিভিন্ন কাঁচা ও মুদি মালামাল কিনতে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় রমজানের শুরুতেই দ্রব্যমূল্যে বৃদ্ধি করেছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এ সকল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি। নওয়াপাড়া বাজারের মুদি দোকানি বলেন, আমরা যেমন পায়কারি মালামাল কিনে আনি তেমনই ভাবে বিক্রি করতে হয় তার দোকানে প্রতিটি পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে বলে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে যে, প্রতিটি পণ্যের দাম বৃদ্ধির সাথে সাথে বাজারে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়ও পরিলক্ষিত হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্রতিদিন বাজার মনিটরিং চলমান আছে এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যহত আছে, অসাধু ব্যবসায়ীরা যদি সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।