প্রতিনিধি ২০ এপ্রিল ২০২৩ , ২:২২:২২ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন বাজারে চিনি, শসা ও লেবুর দাম বাড়তি। শসার সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও দুই দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে দাম দ্বিগুণ হয়েছে। খোলা সাদা চিনি দুই দিন আগে প্রতি কেজি ১১৫ টাকা করে বিক্রি হয়েছে। গতকাল বুধবার ১০ টাকা বাড়িয়ে তা বিক্রি হয়েছে ১২৫ টাকা কেজি। বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে।
দুই দিন আগেও রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজারে শসার দাম ছিল কেজিপ্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। গতকাল এর দাম উঠেছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. কবির গতকাল বলেন, ‘আজ (বুধবার) দেশি শসা ১০০ টাকা কেজি আর হাইব্রিড শসা ৮০ টাকায় দিতে পারছি। কাল দাম আরো বাড়তে পারে। ঈদের বাজার বলে কথা। মালিবাগ, মহাখালী ও মগবাজারের সবজি ব্যবসায়ীরাও একই দাম হাঁকছেন।
লেবুর দাম অবশ্য খুব বেশি বাড়েনি। আকারভেদে ৪০ থেকে ৮০ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, লেবুর মৌসুম শুরু হয়েছে। সরবরাহও প্রচুর। দাম কমার কথা। কিন্তু সামনে ঈদ থাকায় কমেনি। টমেটা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। গত কয়েক দিন বাজারে ভালোমানের বেগুনের সংকট ছিল। গতকাল সেই সংকট অনেকটাই কেটেছে। তবে দাম কিছুটা বেশি। মানভেদে প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা।
মাছ-মাংসের দামও কিছুটা বাড়তির দিকে। গতকাল ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ২২০ টাকা কেজি দরে, যা গত মঙ্গলবার ছিল ২১০ টাকা কেজি। সোনালি মুরগির দাম এক দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়ে গতকাল বিক্রি হয়েছে ৩৬০ টাকায়। খোলাবাজারে গরুর মাংস প্রতি কেজি সর্বোচ্চ ৮০০ টাকা দাম হাঁকলেও দরাদরি করে ৭৫০ টাকায় নামিয়ে আনা যাচ্ছে। মীনা বাজারে গতকাল হাড়সহ গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা।
গতকাল মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারে রুই ও কাতলা মাছ আকারভেদে প্রতি কেজি ৩৩০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ৯০০ গ্রাম থেকে এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ ছিল প্রতি কেজি দেড় হাজার টাকা। এক কেজির ওপরের ওজনের প্রতি কেজির দাম ছিল এক হাজার ৬০০ টাকা। তেলাপিয়াসহ অন্যান্য মাছের দাম বাড়েনি।