সারাদেশ

ঈদ যাত্রায় ২৭ লাখ যাত্রীর চাপ পড়বে সদরঘাটে

  প্রতিনিধি ১১ এপ্রিল ২০২৩ , ৩:৫০:১৬ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঈদ যাত্রায় ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোর প্রায় ৩০ লাখ মানুষ নৌপথে উপকূলীয় এলাকায় যাবে। এর মধ্যে দিনে গড়ে তিন লাখ করে ৯ দিনে অন্তত ২৭ লাখ মানুষ সদরঘাট হয়ে যাবে। নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির ঈদ-পূর্ব পর্যবেক্ষণ ও জরিপ প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। 

আজ মঙ্গলবার সংগঠনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতি ঈদুল ফিতরে প্রায় এক কোটি ৫০ লাখ মানুষ ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে যায়। তাদের মধ্যে ৩৭ লাখ ৫০ হাজার যায় নৌপথে। এর প্রায় শতভাগই উপকূলীয় জেলা বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, চাঁদপুর, শরীয়তপুর ও মাদারীপুরের যাত্রী।

জাতীয় কমিটি জানায়, গত জুনে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর চাঁদপুর ছাড়া অন্য জেলাগুলোর নৌযাত্রীর হার প্রায় ২০ শতাংশ কমেছে; যা মোট ঈদযাত্রীর ৫ শতাংশ। এই হিসাবে এবার ঈদে নৌপথে যাবে ৩০ লাখ মানুষ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯ এপ্রিল থেকে সরকারি ছুটি শুরু হবে। তবে ঘরমুখী জনস্রোত কার্যত শুরু হবে এর আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস ১৩ এপ্রিল থেকে। ১৩ থেকে ২১ এপ্রিল (ঈদের আগের দিন) পর্যন্ত ৯ দিনে ৩০ লাখ মানুষ নৌপথে বাড়ি যাবে। এর মধ্যে সদরঘাট হয়ে যাবে অন্তত ২৭ লাখ মানুষ। এই হিসাবে প্রতিদিন তিন লাখ যাত্রী সদরঘাট টার্মিনাল হয়ে গন্তব্যে যাবে। বাকি তিন লাখ মানুষ যাবে নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর হয়ে।

নৌযান-স্বল্পতার কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, কাগজে-কলমে ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের নৌপথ ৪১টি। তবে তীব্র নাব্যসংকট ও যাত্রীস্বল্পতার কারণে বড় আয়তনের ও বিলাসবহুল লঞ্চ চলাচল না করায় অন্তত ১৫টি নৌপথ দৃশ্যত ইতিমধ্যে পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে। বাকি ২৬টি নৌপথে প্রায় ৭০টি লঞ্চ নিয়মিত আসা-যাওয়া করে। ঈদের আগে লঞ্চের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ১৮০ হবে। এর মধ্যে প্রতিদিন ৯০টি নৌযান সদরঘাট থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে এবং ৯০টি বিভিন্ন স্থান থেকে সদরঘাটে আসবে।

নাগরিক সংগঠনটির প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, প্রতিদিন ৯০টি লঞ্চে তিন লাখ যাত্রী বহন করা হলে একটি লঞ্চে গড়ে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ৩৩৩ জন যাত্রী উঠতে পারে। কিন্তু কোনো লঞ্চেরই দুই হাজারের বেশি যাত্রীধারণক্ষমতা নেই। অনেক লঞ্চের ধারণক্ষমতা এক হাজারেরও নিচে। এ ছাড়া ঈদের আগের তিন দিন ঘরমুখী জনস্রোত দেড় গুণ বেড়ে যাবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চাপ সামাল দিতে অনেক লঞ্চে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ থেকে তিন গুণ যাত্রী বহন করা হয়ে থাকে। ফলে ডেকে অতিরিক্ত যাত্রীর পাশাপাশি ছাদেও যাত্রী তোলা হবে। এ ছাড়া এবার ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে কালবৈশাখী মৌসুমে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সাগরে লঘুচাপের সম্ভাবনার কথাও বলা হয়েছে। সব মিলিয়ে নৌযাত্রায় বিশৃঙ্খলা ও জনদুর্ভোগের পাশাপাশি অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার আশঙ্কাও রয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content

WP Twitter Auto Publish Powered By : XYZScripts.com