প্রতিনিধি ১১ আগস্ট ২০২৩ , ৯:২৪:৩৬ প্রিন্ট সংস্করণ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার কথা বলে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম শহিদুল ইসলাম। তিনি উপজেলার লোকেরপাড়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।
বুধবার (৯ আগস্ট) ঘাটাইল থানার ওসি (তদন্ত) সজল খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ইউপি সদস্য শহীদুল ও তার সহযোগী কাজলের বিরুদ্ধে ঘাটাইল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগীর মা জানান, আমার মেয়ের চাকরির জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র প্রয়োজন। পরে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির জন্য আমার মেয়ে ইউপি সদস্য শহিদুলের সঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদে যায়। এ সময় ইউনিয়ন পরিষদ বন্ধ থাকায় শহিদুল আমার মেয়েকে মিথ্যা কথা বলে, তার এক বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।
ভুক্তভোগী জানান, শহিদুল মেম্বারের সঙ্গে আমি আমার জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখি, ইউনিয়ন পরিষদ তালা বদ্ধ। পরে শহিদুল মেম্বার আমাকে বলে তার বন্ধু জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির কাজ করে। এ সময় আমাকে নিয়ে সেই বাড়িতে যায়। এ সময় ঘরের ভেতর প্রবেশ করার পর সে দরজা বন্ধ করে দেয় এবং আমাকে ধর্ষণ করে। পরে আমাকে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দেয়। আমি একজন অসহায় মেয়ে। আমার পরিবারে মা ছাড়া আর কেউ নেই। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য শহিদুলের মোবাইল বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
ঘাটাইল থানার ওসি (তদন্ত) সজল খান জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী মামলা দায়ের করেছেন। ইতোমধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।