প্রতিনিধি ২০ মে ২০২৩ , ৪:১৪:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি:
কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন ঘাটারচর শান্তিনগর টানপাড়া এলাকার সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়ার পথে অপহরণের শিকার হয়। এ ঘটনায় অপহৃতার বাবা বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পাঁচ দিন পর পুলিশ খাগড়াছড়ির রাঙ্গামাটি জেলার লংগদু উপজেলার দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার করে। এ সময় আটক করা হয় অপহরণকারী চক্রের হোতা ফারজানা আক্তারকে।
শুক্রবার (১৯ মে) বেলা ১২টার দিকে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন অর রশীদ এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন ঘাটারচর শান্তিনগর টানপাড়া সাকিনস্থ দিদারুল আলম তার শ্বশুর মো, নাজিম উদ্দিনের বাড়ির তৃতীয় তলায় সপরিবারে বসবাস করেন।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি মামুন অর রশীদ শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে জানান, ১৪ মে সকালে স্কুলে যাওয়ার সময় ওই ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়। পরে মোবাইল ফোনে অপহৃতের বাবার কাছে ৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়। এরপর ছাত্রীর বাবা থানায় মামলা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে লংগদু উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকার এক বাড়িতে অভিযান চালায়। সেখান থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার ও গ্রেপ্তার করা হয় এক আসামিকে।
উল্লেখ্য, গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফারজানা আক্তার ও তার স্বামী আমিন উদ্দিন পাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য ইতিপূর্বে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির একাধিক মামলা রয়েছে। মামলা রুজু হওয়ার পর পুলিশের ত্বরিৎ অভিযান, ভিকটিম উদ্ধার ও আসামি গ্রেপ্তার করায় এলাকায় স্বস্তি ফিরে আসে।
গ্রেপ্তারকৃত ফারজানা আক্তার সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারা থানার পশ্চিম মাছিমপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে। সে তার স্বামী আমিন উদ্দিনকে নিয়ে ভিকটিমের সঙ্গে একই বাড়িতে বসবাস করতেন। আসামি ফারজানার স্বামী আমিন উদ্দিন পলাতক।