প্রতিনিধি ২২ জুলাই ২০২৩ , ৫:১৯:০১ প্রিন্ট সংস্করণ
পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর গলাচিপায় স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে সন্তান নিয়ে ‘স্বামীর বাড়িতে’ অনশন করছেন এক নারী। শুক্রবার (২১ জুলাই) উপজেলার ৬নং ডাকুয়া ইউনিয়নে পূর্ব আটখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত স্বামী রবিউল পূর্ব আটখালী গ্রামের মগরম আলীর ছেলে।
ভুক্তভোগী সাথী আক্তার জানান, পাশাপাশি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তিনি এবং রবিউল। এরপর সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তারা। এক পর্যায়ে তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। রাজধানী ঢাকার একটি কাজী অফিসে গিয়ে ৬০ হাজার টাকা দেনমোহরে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পরে তাদের ঘরে মেয়ে সন্তান জন্মগ্রহণ করে।
এরপর তিনি সামাজিক স্বীকৃতির জন্য স্বামীকে বলেন। এতেই ঘটে বিপত্তি। স্ত্রী-সন্তানকে সামাজিক স্বীকৃতি দিতে রাজি নয় রবিউল।
সাথী জানান, তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তার স্বামীর ঘরে বউ আছে। অবশেষে বাধ্য হয়ে নিজের স্বীকৃতি পেতে স্বামীর বাড়িতে অবস্থান শুরু করেন তিনি।
তিনি বলেন, আমার এবং আমার সন্তানের স্বীকৃতি না দেয়া পর্যন্ত এখান থেকে যাবো না। প্রয়োজনে গলায় ফাঁসি দিয়ে মারা যাবো।
এ বিষয়ে জানতে রবিউলের মোবাইলে একাধিকবার কল করলে তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায় এবং তিনি ও তার বাবা এই মেয়েকে দেখে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. উজ্জল মিয়ার কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি শুনেছি যে একটি মেয়ে বাচ্চাসহ সিকদার বাড়িতে এসেছে। মগরম সিকদারের ছেলে রবিউল একাধিক বিয়ে করেছে। ছেলেটি কিছুদিন আগেও একটি বিয়ে করেছে। এ নিয়ে মোট পাঁচটি বিয়ে করেছে ওই ছেলে (রবিউল)।
ডাকুয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ রায় জানান, পূর্ব আটখালী গ্রামের এক ছেলে আমাকে ফোন করে জানান যে সিকদার বাড়িতে সন্তানসহ একটি মেয়ে উঠেছে। ছেলে পক্ষ থেকে আমাকে কোনো কিছু জানানো হয়নি।
এ বিষয়ে গলাচিপার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোনিত কুমার গায়েণ বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি। সমাজসেবা অফিসার এবং স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে আমরা বসে ব্যবস্থা নেবো।