প্রতিনিধি ১৩ আগস্ট ২০২৩ , ৬:৪১:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ
নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরের বড়াইগ্রামে পরকীয়ার সম্পর্কের অবনতির জেরে প্রেমিককে হত্যা করেছেন প্রবাসীর স্ত্রী। প্রেমিককে হত্যা করেই ক্ষান্ত হননি ওই নারী। নিজের সন্তানকে নিয়ে প্রেমিকের লাশ ১০ ফুট মাটির নীচে পুঁতে রাখেন তিনি। এমনই লোমহর্ষক ঘটনা ঘটেছে উপজেলার জলন্দা গ্রামে।
ওই ঘটনায় পুলিশ প্রবাসীর স্ত্রী ও তাদের ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে। শনিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে নাটোর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম।
নিহত শাহিন শাহ নাটোর সদর উপজেলার কাপুড়িয়া ইউনিয়নের দস্তানাবাদ গ্রামের মোজাহার শাহের ছেলে। অভিযুক্ত মা ও ছেলে হলেন- বড়াইগ্রাম উপজেলার জলন্দা গ্রামের প্রবাসী আইয়ুব আলীর স্ত্রী মোছা. হোসনে আরা বেগম (৩৫), তাদের ছেলে আশরাফুল ইসলাম ইমন (১৪)।
পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, ওমান প্রবাসী আইয়ুব আলীর স্ত্রী অভিযুক্ত হোসনে আরার সঙ্গে নিহত শাহিনের দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া সম্পর্ক চলছিল। তাদের সম্পর্ক চলমান থাকা অবস্থায় তাদের পারস্পরিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
এরই জের ধরে অভিযুক্ত হোসনে আরা প্রেমিক শাহিনকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এক পর্যায়ে গত ৭ আগস্ট রাতে শাহিনকে অভিযুক্ত আসামি হোসনে আরার বাড়িতে গেলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
পূর্বের পরিকল্পনা অনুযায়ী অভিযুক্ত হোসনে আরা শাহিনের খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়। খাবার খেয়ে শাহিন অচেতন হয়ে পড়লে অভিযুক্ত হোসনে আরা গলায় বেল্ট পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে শাহিনের মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরবর্তীতে হোসনে আরা এবং তার ছেলে আশরাফুল ইসলাম ইমন দুইজন মিলে তাদের বাড়ির টিউবওয়েলের পাশে ১০ ফুট গর্ত করে মরদেহ মাটিতে পুঁতে রাখে।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. ফিরোজ শাহ্ (৪৩) বাদী হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় হোসনে আরা এবং তার সন্তান আশরাফুল ইসলাম ইমনের বিরুদ্ধে বড়াইগ্রাম থানার মামলা দায়ের করেন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মা ও ছেলেকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার কথা স্বীকার করে তারা।