নাটোর প্রতিনিধি: ১৩ এপ্রিল ২০২৩ , ১:৫২:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ
নাটোরের বড়াইগ্রামে এক মানসিক প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণ শেষে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে অহিদুল ব্যাপারী (৪২) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। রক্তাক্ত তরুণীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তার শরীরে ৯টি সেলাই এবং চার ব্যাগ রক্ত লেগেছে বলে জানিয়েছে পরিবার। সোমবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে ধর্ষণ শেষে পালিয়ে চেয়ারম্যানের বাড়িতে ওঠেন অহিদুল। সেখানেই আশ্রয় নেন। আশ্রয় দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল আজাদ দুলাল।
তবে শেষ রক্ষা হয়নি অহিদুলের। তাকে আটকের পর বুধবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
থানায় করা অভিযোগের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, তরুণীকে মাঠে ছাগল দেখতে রেখে বাড়িতে নামাজ পড়তে যান তার মা। এই সুযোগে অহিদুল তাকে ধর্ষণ করেন। এতে রক্তক্ষরণে অসুস্থ হয়ে পড়েন ভুক্তভোগী। নামাজ শেষে মা গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠান।
এ ব্যাপারে তরুণীর ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে থানা পুলিশ ব্যাপক তল্লাশি চালিয়ে মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ওই ইউপি চেয়ারম্যানের গ্রামের বাড়ি থেকে অহিদুলকে গ্রেপ্তার করে।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল আজাদ দুলাল বলেন, আমার বাড়ি থেকে এভাবে কাউকে আটক করায় আমার মান-সম্মান নষ্ট হয়েছে। পুলিশ আমাকে জানালে আমি তাকে অন্যত্র চলে যেতে বলতাম এবং সেখান থেকে আটক করতে পারত।
বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খুরশিদ আলম জানান, ধর্ষক আগ্রাসী আচরণ করে। জোরজবরদস্তিতে তরুণীর প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তার যোনিপথে ৯টি সেলাই ও শরীরে চার ব্যগ রক্ত দিতে হয়েছে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সিদ্দিক জানান, একজন ইউপি চেয়ারম্যান এভাবে অপরাধীকে আশ্রয় দেবেন, এমনটা কখনোই প্রত্যাশা করি না। বরং তার দায়িত্ব ছিল অপরাধীকে ধরতে পুলিশকে সহযোগিতা করা। তিনি আরো জানান, দুপুরে আসামি অহিদুল ব্যাপারীকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।