অর্থনীতি

নাটোরের লালপুরে কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে আমের কেজি ২ টাকা

  প্রতিনিধি ২৩ মে ২০২৩ , ১:৪৭:২১ প্রিন্ট সংস্করণ

লালপুর নাটোর প্রতিনিধি:

নাটোরের লালপুরে কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে ঝড়ে পড়া আম বিক্রি হচ্ছে দুই টাকা কেজি দরে।

সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার(২১মে-২৩)রাত সোয়া ৯টার দিকে আকস্মিক ভাবে কাল বৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে ব্যাপক আম ঝরে পড়ে। মে মাসের ৪ তারিখ থেকে গুটি আম ও ১৫ মে থেকে গোপালভোগ আম ২০ মে থেকে রানীপছন্দ ও লক্ষণভোগ বা লকনা পাড়া শুরু হয় এবং ২৫ মে থেকে হিমসাগর বা খিরসাপাত,৬ জুন থেকে ল্যাংড়া, ১০ জুন থেকে আম্রপলি, ১৫ জুন ফজলি, ১০ জুলাই আশ্বিনা, বারি ফোর ও গৌড়মতি, ২০ আগস্ট থেকে ইলামতি আম নামানো যাবে। আর বারোমাসি আম কাটিমন ও বারি ১১ আম সারাবছরই সংগ্রহ করা যাবে। কিন্তু পরিপক্ব আম গাছ থেকে নামানোর এই সময়ে ঝড়ের তান্ডবে গাছের আম পড়ে যাওয়ায়।ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হওয়ায় হতাশায় ভূগছে আমচাষীরা।

ঝড়ে পড়ার কারনে অপরিপক্ব বড় সাইজের আম বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা বস্তা চুক্তি(প্রতি বস্তা ১মন প্রায়)অথবা দুই টাকা কেজি দরে।
মঙ্গলবার(২৩ মে-২৩)লালপুর উপজেলার দুড়দুড়িয়া, মনিহারপুর,গন্ডবিল, বেরিলাবাড়ি,আট্রিকা এলাকায় বিভিন্ন হাটবাজার ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে বস্তাভর্তি শত শত মণ আম কিনে জড়ো করেছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। এসব আম আচারের জন্য রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করবেন বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
আম চাষী আবুল হোসেন জানান,গত রবিবার ঝড়ে তার এলাকায় অন্তত ২০-২৫ মেঃটঃ আম ঝরে পড়েছে।

আম ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলাম বলেন,ঝড়ের পড়ে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত প্রায় ২৫০-৩০০ বস্তা আম কেনা হয়েছে।খরচসহ এসব আমের দাম পড়েছে প্রায় ১০০ টাকা মণ। তার কেনা আম ঢাকা,সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাবেন। তার মতো অনেকেই আম কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাবেন বলে জানান।

এ বিষয়ে দুড়দুড়ীয়া ইউনিয়নের উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা রাসেল বলেন,ঝড়ে আম পড়ে চাষীদের অনেক ক্ষতি হয়েছে।তবে গাছে এখানো প্রচুর আম আছে। তাতেই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো যাবে। তিনি জানান, দুড়দুড়ীয়া ইউনিয়নে এবার ৪৪০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content

WP Twitter Auto Publish Powered By : XYZScripts.com