সারাদেশ

নির্বাচন কমিশনের কার্ড থাকার পরও পুলিশ সাংবাদিকদের হয়রানি করলে কঠোর ব্যবস্থা

  প্রতিনিধি ১৩ মার্চ ২০২৩ , ৭:৩১:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ

ডেস্ক নিউজঃ

নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনের অনুমোদিত কার্ড থাকার পরও পুলিশ সাংবাদিকদের হয়রানি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।

সোমবার (১৩ মার্চ) আগামী জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে পেশাগত কাজ করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের জন্য নীতিমালা প্রস্তুত করার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কারে সিইসি এমন হুঁশিয়ারি দেন।

মতবিনিময় সভায় নির্বাচন কমিশনে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ‘রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (আরএফইডি) কমিটি ও সদস্যরা অংশ নেন।

ভোটের সময় ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দেওয়া, ভোটের সময় পেশাগত কাজ করার জন্য কার্ড দেওয়া হলেও কেন্দ্রে ঢুকতে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়াসহ নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন সাংবাদিকরা।

এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিইসি সাংবাদিকদের তাদের পেশাগত কাজ নির্বিঘ্নে করার ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

গতবছরের ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়া কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ অথবা পরের বছরের জানুয়ারির প্রথম দিকেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করতে চায়। ভোটের আগে সার্বিক বিষয় নিয়ে প্রস্তুতিও সেরে নিতে চায় কমিশন। এরই ধারাবাহিকতায় সাংবাদিকদের জন্যও নীতিমালা প্রস্তুত করতে চায় ইসি। তবে নীতিমালা চূড়ান্ত করার আগে এ নিয়ে সাংবাদিকদের মতামত শুনতে এই আয়োজন করেছে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন।

ভোটের সময় ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দেওয়ার বিষয় নিয়ে করা প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, সরকার স্বচ্ছতা বিশ্বাস করলে ও ভালো নির্বাচন চাইলে ভোটের দিন নেটওয়ার্কের গতি কমিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, বর্তমান কমিশন অবাধ সাংবাদিকতায় বিশ্বাস করে। দায়িত্বশীলতার সঙ্গে সাংবাদিকরা সংবাদ পরিবেশন করলে একটি স্বচ্ছ নির্বাচন করা সম্ভব হবে।

সাংবাদিকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিইসি বলেন, ভোটের সময় ইসির অনুমোদিত কার্ড থাকার পরও পুলিশ সাংবাদিকদের হয়রানি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভোটের সময় সাংবাদিকতার নীতিমালা সংশোধন করারও কথা জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

সাংবাদিকরা ভোটের সময় অবাধ বিচরণের সুযোগের কথা বললে হাবিবুল আউয়াল বলেন, এখানে অবাধ বিচরণের কথা বলা হয়েছে। আমাদের এখানে (নির্বাচন কমিশন সচিবালয়) তো অবাধ বিচরণে কেউ বাধা দেয় কিনা আমাদের জানা নেই। আপনাদের সবসময় সাদরে বরণ করা হয়। তারপরও আমরা বিষয়টি কমিশনে আলোচনা করব।

আরও খবর

Sponsered content

WP Twitter Auto Publish Powered By : XYZScripts.com