সারাদেশ

নেত্রকোনায় এক প্রেমিকের কুড়ালের কোপে আরেক প্রেমিক হাসপাতালে

  প্রতিনিধি ২ মে ২০২৩ , ৪:৫৩:০২ প্রিন্ট সংস্করণ

নেত্রকোনা প্রতিনিধি:

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে এক প্রেমিক শাহানুর মিয়াকে (১৮) চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছেন অপর প্রেমিক মারুফ আহমেদ। গুরুতর আহত অবস্থায় শাহানুরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এক মেয়েকে দুজনের পছন্দ করা নিয়ে এই ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোহনগঞ্জ পৌরশহরে দক্ষিণ দৌলতপুর শেখবাড়ির পাশে শিয়ালজানি খালের পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।

সোমবার বিকেলে জেলার মোহনগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শাহানুর মিয়া জেলার বারহাট্টা উপজেলার সদর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের মঞ্জিল খানের ছেলে। তিনি পেশায় একজন টাইলস মিস্ত্রি। অভিযুক্ত মারুফ আহমেদের বাড়ি মোহনগঞ্জ পৌরশহরে। তিনি পেশায় একজন অটোরিকশাচালক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একই মেয়েকে পছন্দ করেন টাইলস মিস্ত্রি শাহানুর মিয়া ও অটোরিকশাচালক মারুফ আহমেদ। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এ ঘটনার জেরে রোববার রাতে শাহানুরকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে জখম করেন মারুফ ও তার বন্ধুরা।

আহত শাহানুরের বড় ভাই হাদিছ মিয়া বলেন, মোহনগঞ্জের মারুফ নামের এক অটোচালক শাহানুরকে ডেকে নিয়ে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়েছে। তার মাথা ও হাতে ৫-৬টি কোপ লেগেছে। বর্তমানে সে মমেক এ ভর্তি রয়েছে। তবে কী কারণে শাহানুরকে কুপিয়েছে তা জানি না। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের জন্য থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। 

আহত শাহানুরের বন্ধু ধর্মপাশা উপজেলার মো. ইজাজুল বলেন, মারুফের সঙ্গে শাহানুরের কী দ্বন্দ্ব তা জানা নেই। রোববার সারা দিন আমার সঙ্গেই ছিল শাহানুর। রাতে মোহনগঞ্জে আসার পর মারুফ তাকে দেখা করার কথা বলে ডেকে নেয়। একপর্যায়ে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে তাকে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় শাহানুর নিজের গায়ের শার্ট দিয়ে ক্ষতস্থান বেঁধে সড়কে উঠে আমাদের কল দেয়। দ্রুত তাকে মমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

মোহনগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুজ্জামান বলেন, শুনেছি দুজন এক মেয়েকে পছন্দ করতেন। সেই দ্বন্দ্বে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত করে এ বিষয়ে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও খবর

Sponsered content

WP Twitter Auto Publish Powered By : XYZScripts.com