অনশন

প্রেমের টানে মালয়েশিয়ার তরুণী নোয়াখালীর প্রেমিকের বাড়ি

  প্রতিনিধি ১ জুলাই ২০২৩ , ১২:১৫:৩৪ প্রিন্ট সংস্করণ

নোয়াখালী  প্রতিনিধি:

প্রেমের টানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে ছুটে আসছেন তরুণ-তরুণীরা। এমনকি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন তারা। এবারও প্রেমের টানে হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে সুদূর মালয়েশিয়া থেকে নোয়াখালীতে প্রেমিকের কাছে ছুটে এসেছেন আয়েশা বিন রামাসামি (২২) নামে এক মালয়শিয়ান তরুণী। ধর্মীয় রীতি মেনে গত ২৫ জুন (রোববার ) একটি আদালতে এফিডেভিটের মাধ্যমে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

জানা গেছে, প্রায় পাঁচ বছর মালয়েশিয়ার একটি কোম্পানিতে কাজ করার পর চলতি বছরে ওই কোম্পানির কাজ শেষ হয়ে গেলে বাংলাদেশে চলে আসেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার হাজীপুর এলাকার কবির হোসেনের ছেলে ফরহাদ হোসেন (২৬)। মালয়েশিয়ার লাডাং হোপফুল এলাকার হাটতালিকা নামের একটি কোম্পানিতে চাকরির সুবাদে কর্মক্ষেত্রে পরিচয় ও পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠা স্মৃতি আয়েশা বিন রামাসামির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল ফরহাদের। তাদের উভয়ের কথোপকথনের মাধ্যমে তারা নিজেদের বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। একপর্যায়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার পর ২৪ জুন বাংলাদেশে আসেন স্মৃতি আয়েশা বিন রামাসামি। তাদের উভয়ের সিদ্ধান্ত মতে পরদিন ২৫ জুন তাদের বিয়ে সম্পন্ন করা হয়। এখন দুজনই অনেক খুশি। বিয়েতে খুশি ফরহাদের পরিবারের সদস্যরা। স্মৃতি আয়েশাকে দেখতে ফরহাদের বাসায় ভিড় জমাচ্ছে এলাকার মানুষ। 

আয়শা বিন রামাসামি বলেন, ফরহাদ হোসেনকে আমি ভালোবাসি, আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি। এখানকার পরিবেশ, আতিথেয়তা ও সবার ভালোবাসা আমাকে মুগ্ধ করেছে। ফরহাদের পরিবারের সবাই আমাকে আপন করে নিয়েছেন। সবাইকে নিয়ে মিলেমিশে চলতে পেরে আমি ভীষণ খুশি।

নতুন পুত্রবধূর সঙ্গে সম্পর্ক কেমন জানতে চাইলে ফরহাদের বাবা কবির হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, পুত্রবধূ কিছু কিছু বাংলা শেখার চেষ্টা করছে। আমরা বর্তমানে সুখে-শান্তিতে দিন কাটাচ্ছি। বিদেশি পুত্রবধূকে পেয়ে আমরা আনন্দিত।

ফরহাদ হোসেন বলেন, আমি মালয়েশিয়ার একটি কোম্পানিতে চাকরি করার সময় স্মৃতির সঙ্গে পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে ভালোবাসা। দীর্ঘ সাড়ে চার বছরের সম্পর্ক আমাদের। আমি বাড়ি আসার পর ভালোবাসার টানে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে স্মৃতি বাংলাদেশে চলে আসে। মালয়েশিয়ার আইন অনুযায়ী স্মৃতি প্রাপ্তবয়স্ক তাই সে নিজে সিদ্ধান্ত নিয়েই বাংলাদেশে এসেছে। আমরা এখানে বিয়ে করেছি। এতে আমি, স্মৃতি ও আমার পরিবারের সবাই খুশি।

চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র খালেদ সাইফুল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, মালয়েশিয়ান মেয়েটি আমাদের পৌরসভায় আসায় স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই এই দম্পতিকে দেখতে ভিড় করছেন ফরহাদের বাড়িতে। তাদের  দাম্পত্য জীবন সুখের হোক। 

আরও খবর

Sponsered content

WP Twitter Auto Publish Powered By : XYZScripts.com