সারাদেশ

ফেসবুকে প্রেমের বিয়ে করতে বলায় নির্যাতনের শিকার প্রেমিকা

  প্রতিনিধি ৩০ এপ্রিল ২০২৩ , ১১:৩৫:০২ প্রিন্ট সংস্করণ

জেলা প্রতিনিধি নেত্রকোনা:

দু’জনের বাড়িই নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায়। ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয়। চার বছরের প্রেমের সম্পর্ক তাদের। এবার ঈদের ছুটিতে দু’জনের বিয়ে করার কথা ছিল। বিয়ের জন্য প্রেমিক তার পরিবারকে রাজি করাতে প্রেমিকাসহ অভিভাবককে নিজ বাড়িতে ডেকেও আনেন। রাত ১টা পর্যন্ত চলে দুই পরিবারের আলোচনা। কিন্তু তাতেও কোনো সুরাহা হয়নি। বর্তমানে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছেন প্রেমিকা।

প্রেমিকা (১৯) ঢাকায় বাসাবাড়িতে কাজ করতেন। আর প্রেমিক নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নের চৌরাস্তা এলাকার মৃত আইয়ুব আলী খানের ছেলে আরিফ খান (২১) গাজীপুর এলাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার (২৯ এপ্রিল) বিয়ের বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সালিশের মাধ্যমে মীমাংসার আশ্বাসে প্রেমিকার অভিভাবক রাতেই বাড়ি চলে যান। তবে ওই নারী স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে থেকে যান প্রেমিকার বাড়িতে। এ সময় তার ওপর প্রেমিকের পরিবারের লোকজনের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। অত্যাচারের এক পর্যায়ে প্রেমিকা দৌড়ে আশ্রয় নেন প্রতিবেশীর বাড়িতে। রোববার সকালে ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে পুলিশ উপস্থিত হলে টের পেয়ে প্রেমিক আরিফ পালিয়ে যান। এরপর প্রেমিকা কলমাকান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন।

হাসপাতালে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, চার বছরের প্রেমের সম্পর্কে নিজের দেহ ও মন দেওয়ার পাশাপাশি বিয়ের গহনা ও ব্যবসা করার জন্য জমানো এক লাখ ২০ হাজার টাকাও আরিফের হাতে তুলে দিয়েছি। এখন স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেলে সমাজে মুখ দেখাবো কী করে? আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনো পথ রইল না আমার।

অভিযুক্ত আরিফের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে তার মামা কছিম উদ্দিন বলেন, ফেসবুকে মেয়ের সঙ্গে কথা বলেছে শুনেছি। গত শুক্রবার মেয়ে ভাগিনার বাড়িতে চলে এসেছে। আসার পর অনেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। কিন্তু তাদের চার বছরের সম্পর্কের জোরালো কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি। প্রেমের বিষয়টি জানার পর গত ২৭ রমজান মেয়ের চাচার সঙ্গে কথা বলেছি। শেষ রমজানে মেয়ের চাচার সঙ্গে কথা বলে একটা পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছি। কিন্তু মেয়ে এসে বাড়িতে বসে আছে।

কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম জানান, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরবর্তীতে নিজেদের পরামর্শে হাসপাতালে যান ওই নারী। যেহেতু ফেসবুকে পরিচয় ভুক্তভোগী সাইবার ট্রাইবুনাল আদালতে মামলা করতে পারবেন।

আরও খবর

Sponsered content

WP Twitter Auto Publish Powered By : XYZScripts.com