প্রতিনিধি ৪ আগস্ট ২০২৩ , ১১:৪১:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ
বরগুনা প্রতিনিধিঃ
বরগুনায় শ্যালিকাকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে দুই শিশুকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ইলিয়াস নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে (৩ আগস্ট) সদর উপজেলার ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের রোডপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই শিশু হলো- হাফিজুর (১৩) ও তাইফা (৩)। এ ঘটনায় আহত শ্যালিকাকে চিকিৎসার জন্য বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ হত্যার সাথে জড়িত ইলিয়াস পহলানকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে।
ইলিয়াস পহলান (৩০) বরগুনা সদরের কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের পূর্ব কেওড়াবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা। সে আহত আহতের আপন বড়বোনের স্বামী। নিহত শিশু হাফিজুল একই এলাকার গোলাম খবিরের ছেলে।
তাইফা ভুক্তভোগী শ্যালিকার মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ইলিয়াসের শ্যালিকার সঙ্গে তার স্বামীর বিচ্ছেদ ঘটে। দীর্ঘদিন ধরে দুলাভাই ইলিয়াস তাকে উত্যক্ত করে আসছিল। বৃহস্পতিবার রাতে খাবার খেয়ে শ্যালিকা তার শিশু কন্যা ও প্রতিবেশীর শিশুকে নিয়ে ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন।
গভীর রাতে ওই ঘরে ঢুকে ইলিয়াস জোরপূর্বক শ্যালিকার সঙ্গে অনৈতিক কাজের চেষ্টা চালান। এতে ভুক্তভোগী বাধা দিলে ইলিয়াস ঘরে থাকা দা দিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করে। এসময় তাকে বাঁচাতে এলে দুই শিশুকেও কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায় ইলিয়াস। ঘটনাস্থলেই শিশু হাফিজুলের মৃত্যু হয় এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে শিশু তাইফাও মারা যায়। শ্যালিকা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ইলিয়াস এই বাড়ির জামাই। গতকাল রাতে ইলিয়াস এসে শ্যালিকাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করতে চাইলে তা দেখে ফেলে হাফিজুল। এসময় ইলিয়াস তাকে কুপিয়ে হত্যা করে।
জানতে চাইলে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম মিজানুর রহমান বলেন, হত্যার সাথে জড়িত ইলিয়াস পহলানকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। গুরুতর আহত শ্যালিকাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো.আবদুল হালিম বলেন, দুলাভাই ইলিয়াস দীর্ঘদিন ধরে শ্যালিকাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গতকাল রাতে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। বাধা দিলে দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায় ওই লম্পট। তিনি আরো বলেন, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ঘটনার কথা স্বীকার করেছে।