প্রতিনিধি ৩ মে ২০২৩ , ২:১৩:০৫ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ রোগী ফুসফুসের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। এর মধ্যে শুধু অ্যাজমায় ভুগছে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ। বায়ুদূষণের কারণে প্রথমেই এসব রোগীর ফুসফুস ও শ্বাসনালি আক্রান্ত হয়।
বিশ্ব অ্যাজমা দিবস উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা ও বৈজ্ঞানিক অধিবেশনে ‘দ্য চেস্ট অ্যান্ড হার্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’ এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. মির্জা মোহাম্মদ হিরন এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, অব্যাহত বায়ুদূষণে অ্যাজমা, অ্যালার্জি, শ্বাসনালি ও ফুসফুসে নিউমোনিয়া সংক্রমণ, সিওপিডি ও ফুসফুসের ক্যান্সারসহ বিভিন্ন কার্ডিওভাসকুলার রোগ বেড়েই চলেছে। পরিবেশদূষণ, জীবনযাত্রা প্রণালি, খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি কারণে বক্ষব্যাধি ও হূদরোগ আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থার জন্য হয়ে উঠেছে এক নতুন চ্যালেঞ্জ।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। এ ছাড়া অন্যদের মধ্যে স্বাধীনতা চিকিত্সক পরিষদের সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান মিলন, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. মো. এহতেশামুল হক চৌধুরী প্রমুখ।
ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বিশ্ব অ্যাজমা দিবস ও ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা এবং বৈজ্ঞানিক অধিবেশনের উদ্বোধন করেন এবং অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য দ্য চেস্ট অ্যান্ড হার্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানান।
সভায় সভাপতিত্ব করেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মির্জা মোহাম্মদ হিরন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অর্গানাইজিং কমিটির সদস্যসচিব ডা. এস এম আব্দুর রাজ্জাক, অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ডা. বিশ্বাস আখতার হোসেন, মহাসচিব ডা. মো. আবু রায়হান, জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. খায়রুল আনাম, অর্গানাইজিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুর রউফ ও অধ্যাপক ডা. মু. সাইদুল ইসলাম।
ডা. মো. আবু রায়হান বলেন, আমরা প্রতিবছর বিশ্ব অ্যাজমা দিবসে নিউজলেটার, পোস্টার ও সায়েন্টিফিক সেমিনার আয়োজন করে থাকি। এ ছাড়া বিভিন্ন জেলা শহরে প্রতিবছর হেলথ ক্যাম্প ও সেমিনারের আয়োজন করা হয়ে থাকে।
অধ্যাপক ডা. বিশ্বাস আখতার হোসেন বলেন, ১৯৫৫ সালে স্থাপিত ঢাকার মহাখালীর হাসপাতালটি দেশের বক্ষব্যাধি আক্রান্ত রোগীদের চিকিত্সার ক্ষেত্রে একমাত্র জাতীয় প্রতিষ্ঠান। সেই সঙ্গে একই চত্বরে জাতীয় অ্যাজমা সেন্টারের কার্যক্রম পুরোমাত্রায় চলছে। বর্তমানে হাসপাতালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আর্থিক সহায়তায় মাইকোব্যাকটেরিয়া কালচারের জন্য আন্তর্জাতিক মানের একটি জাতীয় রেফারেন্স ল্যাব প্রতিষ্ঠা করেছে সরকার।
অর্গানাইজিং কমিটির সদস্যসচিব ডা. এস এম আব্দুর রাজ্জাক ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা ও বৈজ্ঞানিক অধিবেশনে সারা দেশ থেকে অংশগ্রহণকারী প্রায় ৫০০ চিকিত্সককে স্বাগত জানান এবং এই অনুষ্ঠানের বৈজ্ঞানিক অধিবেশনে উপস্থাপিত বিভিন্ন তথ্য ও তত্ত্ব সমৃদ্ধ প্রবন্ধ জ্ঞানের দিগন্তকে আরো প্রসারিত করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।