প্রতিনিধি ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৯:২২:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ
অনলাইন ডেস্কঃ
পড়াশোনা ও দেখাশোনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মা-বাবার কাছ থেকে ১২ বছরের এক কিশোরীকে নিয়ে আসে একটি পরিবার। এরপর বাড়িতে এনে তাকে দিয়ে গৃহস্থলির কাজ করানো হয়। কাজে কোনো ভুল করলে মারধর ও সিগারেটের আগন দিয়ে তাকে নির্যাতন করা হতো। সর্বশেষ অন্ধকার ঘরে তাকে চার দিন আটকে রেখে পরিবারটি অন্যত্র চলে গেলে বিষয়টি নজরে আসে।
ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সঙ্গে জড়িত ওই বাড়ির একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
রোববার ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।
পুলিশ জানায়, বাড়িতে গৃহস্থালির কাজ করা জন্য ১২ বছর বয়সী ওই কিশোরীকে বেঙ্গালুরু থেকে নাগপুরের অথর্ব নাগরি সোসাইটিতে নিয়ে আসে একটি পরিবার। এরপর থেকে ওই বাড়ির লোকজন দ্বারা শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতো ওই কিশোরী। একটু ভুল করলে তাকে গরম প্যান এবং সিগারেট দিয়ে পুড়িয়ে ফেলত তারা। এ ছাড়া তার গোপনাঙ্গে আঘাত করা হতো। সর্বশেষ কয়েকদিন আগে ওই বাড়ির লোকজন বেঙ্গালুরুতে যাওয়ার সময় তাকে চার দিনের জন্য বাড়িতে তালাবদ্ধ করে রেখে যায়।
এরপর ওই কিশোরী সাহায্যের জন্য চিৎকার করে এবং জানালা দিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে গেলে বিষয়টি প্রতিবেশীদের নজরে আসে। প্রতিবেশীরা তাকে ঘর থেকে বের করে। এরপর বিষয়টি পুলিশকে জানান তারা।
পড়াশোনা করা ও দেখাশোনা প্রতিশ্রুতি দিয়ে মা-বাবার কাছ থেকে নাগপুরে নিয়ে আসে ওই কিশোরীকে নিয়ে আসে অভিযুক্ত পরিবারটি।
প্রতিবেশীরা জানান, ওই বাড়ির লোকজন বিদ্যুতের বিল পরিশোধ করেনি। ফলে বেশ কিছুদিন থেকে ওই বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই। আর এই সময়ে ওই কিশোরীকে অন্ধকার ঘরে রেখে অন্যখানে চলে যায় পরিবারটি।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই পরিবারটির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী কিশোরীর মা-বাবা।