প্রতিনিধি ২৯ আগস্ট ২০২৩ , ৪:৫০:০৭ প্রিন্ট সংস্করণ
মোঃ ছাইফুল ইসলাম জিহাদ, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
ভোলা-৩ আসন (লালমোহন-তজুমদ্দিন) এর উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন
দ্বীপবন্ধু খ্যাত বর্তমান সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন। লালমোহন তজুমদ্দিনের অবহেলিত জনপদ এখন শান্তির নীড়ে পরিনত হয়েছে। স্বস্তি ফিরে এসেছে জনসাধারণের মাঝে।
২০০৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে মেজর হাফিজকে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো ভোলা-৩ আসন থেকে মেজর জসিম আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে দেড় বছর পার করলেও উন্নয়ন বঞ্চিত ছিলো লালমোহন ও তজুমুদ্দিনের মানুষ।
একই সঙ্গে রেড়েছিল আওয়ামীলীগের কোন্দল। ওই সময় আওয়ামীলীগের নির্যাতিত নিপীড়িত নেতাকর্মী ও সমর্থকরা অভিবাবকহীন হয়ে পড়ে। মেজর জসিমের সংসদ সদস্য পদ অবৈধ হলে ২০১০ সালে উপ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা হয়। উপ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন পান ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন।
২০১০ সালের ২৪ এপ্রিল ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) উপ-নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয় লাভ করে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। অল্প সময়ে লালমোহন-তজুমদ্দিনের উন্নয়নের মাধ্যমে জনগনের নজড় কাড়তে সক্ষম হন। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর সু-সংগঠিত করেছে দলীয় কার্যক্রম, প্রান খুঁজে পেয়েছে নেতা কর্মীরা।
দলমত নির্বিশেষে লালমোহন-তজুমদ্দিনকে একটি শান্তির নীড় গড়ে তুলতে এ এলাকার নির্যাতিত নিপিড়িত মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে নিরলস ভাবে কাজ করেন এমপি শাওন। বিভিন্ন সময়ে ছুঁটে চলেন জনগনের খোঁজ খবর নিতে প্রত্যন্ত অঞ্চলে। সকলের সাথে ভাগাভাগি করে নেয় সুখ-দুঃখ। যা বিগত দিনে অন্য কোন সংসদ সদস্যকে এভাবে পাননি এখানকার জনগণ। বৃদ্ধি করেছে এখানকার জীবনযাত্রার মান। গড়ে তুলেছে দেশের বৃহৎ তথ্য প্রযুক্তি সম্বলিত দৃষ্টিনন্দন সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল পার্ক। পার্কটি নজড় কাড়েন এখানকার মানুষের।
লালমোহনউপজেলা পরিষদের নতুন কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ ও সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যলয়সহ থানা ভবন নির্মাণ। ২ যুগ ধরে অনির্মিত ভোলা টু চরফ্যাশন মহাসড়কের লালমোহন লাঙ্গলখালি ব্রিজটি নির্মান ও বানিজ্যিক যোগাযোগের জন্য ফরাজগঞ্জ ও বদরপুর ইউনিয়নের মধ্যে লালমোহন-ঢাকা লঞ্চ চলাচলকারী খালে একটি অত্যাধুনিক ব্রিজ নির্মাণসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে রাস্তাঘাট, কালভার্ট,ব্রিজ ও বেড়ি বাঁধ নির্মাণ করেন। শিক্ষা খ্যাতেও রয়েছে এমপি শাওনের গুরুত্বপূর্ণ অবদান সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ারপর বিভিন্ন স্কুল,কলেজ, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা ও নতুন ভবন নির্মানসহ শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক অবদান রাখেন।
তথ্য প্রযুক্তিতে এ অঞ্চলের মানুষকে এগিয়ে নিতে আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন আইসিটি ফ্রি প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম চালু করেন। অবহেলিত এই অঞ্চলে পৌছে গেছে বিদ্যুৎ। সন্ধ্যার পর’ই আলোকিত হয়ে ওঠছে গ্রামের প্রতিটি ঘর দুয়ার।
লালমোহন ও তজুমুদ্দিনে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং অপরাধ ও মাদকমুক্ত করতে লালমোহন থানার কার্যক্রম জোড়ালো করার পাশাপাশি আরো ২ টি পুলিশ ফাঁড়ি করেন তিনি। এসব ফাঁড়িকে আধুনিক সরঞ্জাম ব্যক্তি উদ্যোগে দান করেন। মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে জলদস্যূ নির্মূলে কোষ্টগার্ডকে দুটি স্পীডবোট দেন। তার এ উদ্যোগের কারণে মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে সাধারন জেলেরা নিরাপদে মাছ শিকার করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে।
এ উপজেলায় কয়েকটি দূর্ঘম চরঅঞ্চলকে জনবসতি গড়ে তোলা এবং তাদের নিরাপদ বাসস্থানের জন্য ব্যাপক উন্নয়ন
করেন। এমনকি শীতের সময়ে যখন সাধারণ মানুষ প্রচন্ড শীতে কাঁপছিলো তখন গভীর রাতে শীতার্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ করে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন দ্বীপবন্ধু নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন-(এমপি)। তিনি ছুটে যেতেন মেঘনা-তেতুলিয়া নদীর পাড়ে শীতার্থদের কাছে। গভীর রাতে একজন সংসদ সদস্যের গ্রামে আগমন দেখে হতবাক হয়ে যেতেন সাধারণ মানুষ।
গ্রামের মানুষ কখনও এভাবে অন্য কোন সংসদ সদস্যকে দেখতে পায়নি। পরপর দুইবার বিপুল ভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন লালমোহন-তজুমদ্দিনের মানুষের সুখে-দুঃখে সবসময় পাশে থাকায় সাধারণ মানুষ তাকে “দ্বীপবন্ধু” উপাধিতে ভূষিত করেছেন। লালমোহন-তজুমুদ্দিন উন্নয়নের রূপকার নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের উন্নয়নে সন্তোষ্ঠ হয়ে বিএনপি থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগদান করে।
আগামী নির্বাচনে ভোলা-৩ আসনে (লালমোহন-তজুমদ্দিন) সরকার দলীয় আওয়ামীলীগের অন্যান্য সম্ভব্য প্রার্থী থাকলেও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এ আসনে আগামী নির্বাচনে নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের কোন বিকল্প নেই বলে মনে করেন এখানকার জনগণ।