প্রতিনিধি ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ১২:১৩:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ
অনলাইন ডেস্কঃ
ভারতের উত্তর প্রদেশের গ্রেটার নয়ডা এলাকায় ছেলের হাতে বাবা খুনের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। দিনের পর দিন মায়ের ওপর নির্যাতনের প্রতিশোধ নিতেই এই হত্যাকাণ্ড বলে জানা গেছে। খুনের দৃশ্য দেখে ফেলায় দাদাকেও হত্যা করে যুবক।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, জোড়া খুনের ঘটনাটি ঘটেছে গত ৭ সেপ্টেম্বর রাতে। অভিযুক্ত ২১ বছর বয়সী ওই যুবকের নাম জ্যাসমিন। বাবা বিক্রমজিৎ রাও এবং দাদা (বাবার বাবা) রামকুমার রাওকে হত্যা করেছেন তিনি। এরইমধ্যে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে খুনের কথা স্বীকার করেছেন জ্যাসমিন।
তদন্তকারীরা জানান, পারিবারিক কলহের জেরে বিক্রমজিৎ ও তাঁর স্ত্রী আলাদা থাকতেন। তাঁদের মধ্যে আইনত বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে মায়ের ওপর বাবার অত্যাচার চলছিল বলে দাবি ছেলে জ্যাসমিনের।
ঘটনার দিন রাতে গ্রেটার নয়ডার দানকাউর এলাকার বাল্লু খেরা এলাকায় নির্মাণাধীন একটি ফিল্ম স্টুডিওতে ঘুমাচ্ছিলেন বিক্রমজিৎ ও রামকুমার। গভীর রাতে সেখানে হামলা চালায় অভিযুক্ত জ্যাসমিন। কুড়াল দিয়ে গলায়, মুখে, মাথায় কুপিয়ে বিক্রমজিৎকে হত্যা করেন তিনি। ছেলের চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায় রামকুমারের। তখন তাঁকেও একইভাবে হত্যা করেন জ্যাসমিন।
স্থানীয় পুলিশ জানায়, হত্যার পর দেওয়াল টপকে পালিয়ে যান জ্যাসমিন। রক্তে ভেজা গায়ের পোশাক ধুয়ে ঘুমিয়েও পড়েন। পরদিন ওই ফিল্ম স্টুডিও থেকে জোড়া মরদেহ উদ্ধার হয়। এরপর হত্যায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয় জ্যাসমিনকে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে খুনের কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত যুবক।