প্রতিনিধি ২৩ জুলাই ২০২৩ , ৭:০৪:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ
রংপুর প্রতিনিধিঃ
রংপুরের মিঠাপুকুরে দু’বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর অন্য জায়গায় বিয়ে করে ফেলেন প্রেমিক। আর বিয়ের পরদিন থেকে’ই বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন এক কলেজছাত্রী। এসময় বউ নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করছেন প্রেমিক।
অভিযুক্ত প্রেমিক মিঠাপুকুর উপজেলার ৩নং পায়রাবন্দ ইউনিয়নের শালাইপুর শালমারাটারি গ্রামের মোহাম্মাদ আলীর ছেলে ওয়ারেস আলী (২৮)। অনশনে বসা ওই কলেজছাত্রী ও ওয়ারেস আলী জেঠাতো-চাচাতো ভাইবোন।
বিয়ের দাবিতে অনশনরত ওই ছাত্রীর দাবি, ওয়ারেস আলী সম্পর্কে তার জেঠাত ভাই। আর এ সুবাধে ওয়াসেরের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের প্রলোভনে ওয়াসের তার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক জড়ায় ও গর্ভপাত ঘটায়।
ওই ছাত্রী জানান, ওয়ারেস আলীর পরিবারের সঙ্গে বিয়ের কথা চলা অবস্থায় গত সোমবার (১৭ জুলাই) কৌশলে একই উপজেলার কাফ্রিখাল ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের মেয়ের সঙ্গে গোপনে বিয়ে হয় ওয়ারেস আলীর। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) মধ্যরাতে তিনি ও তার বাবা আফসার আলী জানতে পারেন তাদের সঙ্গে প্রতারণা করে ওয়ারেস আলী অন্য কোথাও বিয়ে করেছেন। এরপর মঙ্গলবার সকালে বিয়ের দাবিতে ওয়ারেস আলীর বাড়িতে গিয়ে তার কক্ষে গিয়ে ওঠেন তিনি।
ওই ছাত্রীর দাবি, তার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে তার বিয়ের জন্য লোকজন আসলেও ওয়ারেস আলী তাকে বিয়ে করবেন বলে জানিয়ে বিয়ে ভেঙে দিয়েছেন। তাকে তিনি বিভিন্ন সময়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক মেলামেশা করে গর্ভপাত ঘটান। এখন হয় মৃত্যু না-হয় ওয়ারেস আলীকে বিয়ে ছাড়া তার ফেরার পথ নেই।
ওয়ারেস আলীর বাবা আফসার আলী জানান, তিনি তার ছেলের ধুমধাম করে বিয়ে দিয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক আছে সেটা তার জানা ছিল না। যদি ওই মেয়ে বিয়ের দাবিতে তাদের বাড়িতে আগে আসত তাহলে অন্য কোথাও বিয়ে দেয়ার প্রয়োজন ছিল না। এখন বিয়ে হয়েছে আর করার কিছু নাই।
ওয়ারেস আলীর শ্বশুর আব্দুল জলিল বলেন, তড়িঘড়ি করে বিয়ে হয়েছে। আমি এখন কি করব বুঝতে পারছি না।
ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছালাম জানান, ওয়ারেস এর আগেও একটি মেয়ের সঙ্গে এমন করে বিয়ে করেনি। ওই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা চলছে। এরমধ্যেই আবার আরেকটি মেয়ের জীবন নষ্ট করে অন্য জায়গায় বিয়ে করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এতে আফজাল নামে একজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান জানান, এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। তবে মারামারি সংক্রান্ত একটি ঘটনায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল।