প্রতিনিধি ৫ মে ২০২৩ , ১:২৬:০০ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর শাহজাহানপুর ও সবুজবাগ পৃথক এলাকা থেকে দুই তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেলের মধ্যে এই দুই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে বিকালে শাহজাহানপুর থানাধীন দক্ষিণ খিলগাঁও ঝিলপাড় টিনসেট ভাড়া বাসা থেকে লুবনা (১৯) নামে এক গৃহবধূকে ঝূলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সন্ধ্যা ৬টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাত মাস আগে লুবনার বিয়ে হয়েছিল। স্বামীর সঙ্গে অভিমানে আত্মহত্যা করতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। মোবাইলে কথা বলা নিয়ে একে অপরকে সন্দেহ করতো। সত্যতা নিশ্চিত করেন শাহজাহানপুর থানার এসআই সোহেলী আক্তার। মৃতার স্বামী মো. রবিন শাহজাহানপুর এলাকায় পানি সাপ্লাইয়ের কাজ করতেন। বরিশালের আগৈলঝড়া উপজেলার হাসান সর্দারের মেয়ে লুবনা।
এর আগে একইদিন বেলা ১১টার দিকে সবুজবাগ থানাধীন রাজারবাগে একটি বাসা থেকে হোসেনে আরা আক্তার (১৯) নামে আরেক তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ‘মা’ মারা যাওয়ার পরে বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করতে চাওয়ায় অভিমানে তিনি ফাঁস দিয়েছেন বলে জানায় পুলিশ।
সত্যতা নিশ্চিত করে সবুজবাগ থানার এসআই আজমিন নাহার কিরণ বলেন, রাজারবাগ জোরা মসজিদ গলির একটি বাসা থেকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য বিকেলে ঢামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
মৃতা হোসনে আরা শরীয়তপুরের শখিপুর উপজেলার রশিদ দেওয়ানপুর গ্রামের রাজমিস্ত্রি মো. জামালের মেয়ে। পাঁচ বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। পরিবারের বরাত দিয়ে এস আই আজমিন নাহার কিরণ বলেন, মেয়ের মা আট মাস আগে মারা যান। তার বাবার আরেকটি বিয়ে করার আলোচনা চলছিল। মা মারা যাওয়ার পর তিনি হতাশায় ছিলেন। বাবার বিয়ের কথা শুনে মানুসিকভাবে ভেঙে পড়েন। সকালে তার বাবা বাজার করতে গেলে বাসায় ফিরে এসে দেখেন তার রুমের দরজা বন্ধ করা। তার কোনো সারা শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে দেখেন ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছেন মেয়ে।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বলেন, দুইজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তারা আত্মহত্যা করেছেন বলে মনে হলেও, বিষয়টি তদন্তধীন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।