প্রতিনিধি ২৩ জুন ২০২৩ , ১২:২৬:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি ভোলা:
ভোলার লালমোহনের মেঘনা নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছেই। উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের মঙ্গলসিকদার লঞ্চ ঘাট এলাকার মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে দৈনিক কয়েক হাজার ঘনফুট বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। গত ছয় মাস ধরে প্রকাশ্যে দুটি ড্রেজার দিয়ে নদীর ডুবোচর থেকে বালু উত্তোলন করে দুটি জাহাজে করে তীরে এনে গড়ে তোলা হয়েছে বালু মহল। এ অবৈধ বালু উত্তোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ধলীগৌরনগর ইউপি চেয়ারম্যান হেদায়েতুল ইসলাম মিন্টুর আপন ভাই আলমগীর সিকদার। ভাইয়ের প্রভাবকে পুঁজি করে আলমগীর গড়ে তুলেছেন বালু সাম্রাজ্য।
সূত্রের তথ্য মতে, ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর গতি পরিবর্তন ও দুই পাড় ভেঙে যায়। এ ছাড়া ক্ষতি হয় প্রকৃতিরও। নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধে ২০১০ সালে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন করে সরকার। তবে ধলীগৌরনগরের ওই কথিত প্রভাবশালী আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে মঙ্গলসিকদার লঞ্চঘাট এলাকার বেড়িবাঁধসংলগ্ন স্থানে কয়েক হাজার ফুট বালু দিয়ে গড়ে তুলেছেন বালুর রাজ্য।
অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে অভিযুক্ত আলমগীর সিকদার বলেন, আরো মাসখানেক আগে বালু তুলেছি। এখন বন্ধ রয়েছে। যেসব বালু আগে তোলা হয়েছে সেগুলো এখনো রয়ে গেছে।
নদী থেকে বালু উত্তোলনের ব্যাপারে ভোলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তামিম আল ইয়ামীন বলেন, লালমোহনে কোনো বালু মহল নেই। সেক্ষেত্রে কেউ যদি নদী থেকে বালু উত্তোলন করে তাহলে তা অবৈধ। এ ক্ষেত্রে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে মেঘনার ভাঙনরোধে ইতোমধ্যে প্রায় ১১০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। তবে মেঘনা নদী থেকে এভাবে বালু তুলতে থাকলে ভাঙন ঠেকানো সম্ভব হবে না। তাই দ্রুত এই অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে স্থানীয় সচেতন মহল।