সারাদেশ

স্ত্রীকে হত্যা করে, পুলিশের কাছে ছাত্রলীগ নেতার আত্মসমর্পণ

  প্রতিনিধি ১৫ মে ২০২৩ , ১২:৩৯:১০ প্রিন্ট সংস্করণ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

ঝালকাঠিতে বাসা থেকে ডেকে এনে স্ত্রী সায়মা পারভীন তানহাকে (২০) ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আলী ইমাম খান অনুর বিরুদ্ধে। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে ঝালকাঠি ইকো পার্কে এ ঘটনা ঘটে। স্ত্রীকে হত্যা করে নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন অনু (২৮)। 

নিহত সায়মা পারভীন তানহা ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। তিনি শহরের টিনপট্টি সড়কের শাহাদাত তালুকদারের মেয়ে।

পুলিশ জানায়, ঝালকাঠি শহরের ফকিরবাড়ি এলাকার দলিল লেখক দিদার হোসেন নান্নার ছেলে জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আলী ইমাম খান অনু ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর গোপনে বিয়ে করেন প্রতিবেশী সায়মা পারভীন তানহাকে। বিয়ের পরে তারা আলাদাভাবে নিজের বাবার বাসায় থাকতেন। সম্প্রতি মেয়েটি ফেসবুকে অন্য এক যুবকের সঙ্গে চ্যাট করতেন। বিষয়টি জানতে পারে অনু রবিবার রাতে নিজের ফেসবুকে স্ত্রী পরকীয়ায় আসক্ত লিখে স্ট্যাটাস দেন। আজ সোমবার সকাল ১১টার দিকে স্ত্রীকে ফোনে ইকো পার্কে ডেকে আনেন অনু। এরপর ফেসবুকের স্ট্যাটাস ও চ্যাটিং নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে অনু ছুরি দিয়ে পেটে ও বুকে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তানহার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পরে অনু তার ফেসবুকে বেলা ১২টার দিকে স্ত্রীকে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে স্ট্যাটাস দিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ ও ছুরি উদ্ধার করে।

অনু তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, আমার বউ পরকীয়ায় আসক্ত হয়েছিল, তাই নিজেই তাকে খুন করেছি। এর জন্য আমি ছাড়া আর কেউ দায়ী নয়।

অপর একটি স্ট্যাটাসে লিখেছেন, বিশ্বাসঘাতক বেঈমানের এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই। পরপারে ভালো থেকো বউ, পরকীয়ার মজা এইবার অন্তত বুঝলা।

সায়মা পারভীন তানহার বাবা শাহাদাত হোসেন তালুকদার বলেন, আমার মেয়েকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মহিতুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পরপরই অনু পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। তার দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কলেজছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অনুকে আটক করা হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content

WP Twitter Auto Publish Powered By : XYZScripts.com