প্রতিনিধি ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৮:১৫:০১ প্রিন্ট সংস্করণ
এম. আমির হোসেন, ভোলা থেকেঃ
আজ ৮ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও আজ এই দিবসটি বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে।
ইউনেস্কো কর্তৃক নির্ধারিত এ বছর সাক্ষরতা দিবসের মূল প্রতিপাদ্য “পরিবর্তনশীল ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে সাক্ষরতার প্রসার।
১৯৬৫ সালের ১৭ নভেম্বর জাতিসংঘের
বিশেষ সহায়ক সংস্থা ইউনেস্কো ১৪ তম অধিবেশন ৮ সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও সমাজের মধ্যে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা এবং গুরুত্ব তুলে ধরার লক্ষ্যে এ দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়। ১৯৬৬ সালে প্রথম আন্তর্জাতিকভাবে সাক্ষরতা দিবস পালন করা হয়। প্রতিবছর এ দিবসটি উদযাপনের মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বের সাক্ষরতা ও বয়স্ক শিক্ষার প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা হয়। শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকারের মধ্যে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসার সঙ্গে শিক্ষা কোনো অংশেই কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমরা জানি যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত, সেই জাতি তত বেশি সভ্য ও উন্নত। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর দিকে তাকালেই এর বাস্তব প্রমাণ দেখা যায়।
সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে প্রথম সাক্ষরতা দিবস পালিত হয়। বঙ্গবন্ধু দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূর করতে শিক্ষাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করেন। বঙ্গবন্ধু অনুধাবন করেছিলেন মানুষকে অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে হলে জাতিকে প্রথমে নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে হবে। এ লক্ষে আন্তর্জাতিক সংস্হার সঙ্গে তিনি একাত্বতা প্রকাশ করে নিরক্ষরতা দূর করে সাক্ষরতা বৃদ্ধি করতে নানামুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছিলেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ১৯৭১ সালে সাক্ষরতার হার ছিল ১৬. ৮ %, ১৯৯১ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৫. ৩% অর্থ্যাৎ সেই ২০ বছরে সাক্ষরতার হার বেড়েছিল ১৮. ২৩% আর ২০০১ সালে সাক্ষরতার হার ছিল ৪৭. ৯%, যা বর্তমানে বড়ে দাড়ায় ৭৬.০৮ %।
বিশ্বময় ১৫ বছর বা তদূধ্ব সামগ্রিক জনসংখ্যাৱ সাক্ষরতার হাৱ ৮৪.১% পুরুষের সাক্ষরতার হাৱ ৮৮.৬% ও মহিলাদের সাক্ষরতার হাৱ ৭৯.৭%, ইউএনডিপি মানব উন্নয়ন রিপোর্ট ২০১৪ অনুসারে সাক্ষরতার হাৱ ১০০% এর দেশ(২৫ বছরের উপরে)
কানাডা ,অস্ট্রিয়া ,এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ।
উৎপাদনশীল, উন্নয়নমুখী, কর্মদক্ষ,সচেতনমুখী ও সুশৃঙ্খল স্মার্ট ডিজিটাল জাতি গঠনে সাক্ষরতার বৃদ্ধি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি নিয়ামক। জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সমাজ বিনির্মাণের মূল ভিত্তিই হলো সাক্ষরতার দক্ষতা অর্জন করা। তা ছাড়া টেকসই উন্নয়নের জন্য সাক্ষরতা অর্জন খুবই অপরিহার্য একটি বিষয়।
তাই দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য দেশের সাক্ষরতার হার বাড়ানো দরকার। আর এই সাক্ষরতার হার আরো বাড়াতে সকলের প্রচেষ্টা জরুরী। আমরা সকলে যদি নিজ নিজ অবস্থানে থেকে দুর্নীতি মুক্ত ,স্বচ্ছ ও ন্যায়পরায়ন থেকে সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দায়িত্ববান হই তাহলেই বদলে যাবে পুরো দেশ ও জাতী। তাই আসুন, সাক্ষরতা বৃদ্ধিতে সকলে মিলে কাজ করি স্মার্ট বাংলাদেশ গরে তুলি।