সারাদেশ

ভোলার চরফ্যাশনে ঈদের দিনে স্ত্রীকে হত্যা, লাশ রেখে পালালেন স্বামী

  প্রতিনিধি ৩০ জুন ২০২৩ , ১:২১:২১ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিনিধি:

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাটে নেশাগ্রস্ত স্বামীর যৌতুকের টাকা না পেয়ে সামিয়া(২২) নামের এক গৃহবধুকে ঈদের দিনই স্বাসরোধ করে  হত্যার পর মরদেহ ঘরে মরদেহ রেখে পালিয়ে গেলেন স্বামী নুরমোহাম্মদ-সহ তার পরিবারের সদস্যরা।

(বৃহস্পতিবার ২৯ জুন) দুলারহাট থানার আহম্মদপুর ইউনিয়নের গৃহবধুর স্বামীর বসত বাড়িতে এঘটনা ঘটে। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে দুলারহাট থানা পুলিশ গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে ভোলা মর্গে পাঠিয়েছেন। নিহত গৃহবধু নুরাবাদ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল কাশেমের মেয়ে।

নিহতের ভাই আনোয়ার জানান, পার্শ¦বর্তী গ্রামের মোস্তফা মাঝির ছেলে নুরমোহাম্মদের সাথে বোন সামিয়ার পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই বোনের স্বামী পরকিয়ায় আসক্ত ও নেশাগ্রস্ত হয়ে পরেন। এনিয়ে তাদের মধ্যে দম্পত্ত কলহ শুরু হয়। নেশাগ্রস্ত স্বামী প্রায় সময় নেশার টাকার জন্য বোনকে মারধর করতো।

গত কয়েকদিন আগে নেশাগ্রস্ত স্বামীর নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে বোন সামিয়া বাবার বাড়িতে চলে আসে। গত ২১ জুন স্থানীয়দের মাধ্যেমে শালিশ সমোঝতা করে বোনকে ফের স্বামীর বাড়িতে দেয়া হয়। ঈদের আগের দিন রাতে নেশাগ্রস্ত স্বামী বোন সামিয়াকে ফের মারধর করে। রাত পেরিয়ে  ঈদের দিন  সকাল হলেই বোনের জামাতার প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খবর পাই বোন গলায় ফাঁস নিয়েছেন। ওই বাড়িতে ছুটে গিয়ে দেখতে পাই ঘরের মেঝোতে পরে আছে বোনের নিথর দেহ।

ঘটনার পরপরই বাড়ি ছেড়ে  পালিয়ে  গেছে বোনের জামাতা আনোয়ারসহ তার পরিবারের সদস্যরা। বোনের নেশাগ্রস্ত স্বামীর যৌতুকের টাকা না পেয়েই বোনকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর পালিয়ে গেছেন স্বামীসহ তার পরিবারের সদস্যরা।

গৃহবধুর স্বামীসহ তার পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে থাকায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।

দুলারহাট থানার ওসি তদন্ত মো. আলাউদ্দিন জানান, নিহত গৃহবধুর মারদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রথামিক সুরাতহালে গালায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে মৃত্যুর কারন জানা যাবে।

আরও খবর

Sponsered content