- আরও
প্রতিনিধি ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ৬:২৫:৫৪ প্রিন্ট সংস্করণ
অনলাইন ডেস্ক:
জুমার দিন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ফজর নামাজের পর টঙ্গীর তুরাগ তীরে পাকিস্তানের মাওলানা আহমদ বাটলারের আমবয়ানের মধ্য দিয়ে মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত ইজতেমা শুরু হয়।
বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক মো. হাবিবুল্লাহ রায়হান জানিয়েছেন, পাকিস্তানের মাওলানা আহমদ বাটলারের আমবয়ানের পর সকাল ১০টায় তালিম করবেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক। এরপরই জুমার নামাজের প্রস্তুতি শুরু করা হবে। শুক্রবার জুমার নামাজ পড়াবেন মাওলানা জুবায়ের। জুমার নামাজের পর বয়ান করবেন জর্ডানের মাওলানা, আছরের নামাজের পর বাংলাদেশের হাফেজ মাওলানা জুবায়ের ও মাগরিবের পর ভারতের মাওলানা আহমদ লাট বয়ান করবেন।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান। তবুও শীত-বৃষ্টি উপেক্ষা করে দলে দলে মুসল্লিরা ময়দানের দিকে আসছেন। এরমধ্যে যারা আগে এসেছেন তারা খিত্তায় খিত্তায় অবস্থান নিয়ে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল আছেন।
আর ময়দানে স্থান না পেয়ে ময়দানের আশপাশের বিভিন্ন অলিগলি, ফুটপাত সড়ক ও আশেপাশের খোলা জায়গায় অবস্থান নিয়েছেন অনেক মুসল্লি।
তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের কারণে এবারও বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাবলিগের আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বিরোধী পক্ষ মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা ইজতেমা করবেন ২, ৩ ও ৪ ফেব্রুয়ারি। চারদিন বিরতির পর সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা ইজতেমা করবেন ৯, ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি। শুক্রবার ফজর নামাজের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয়েছে।
বিশ্ব ইজতেমা ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়ে গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মাহবুব আলম জানিয়েছেন, ইজতেমায় গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের ছয় হাজার সদস্যের পাশাপাশি র্যাব, ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ এবং পোশাকে ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা বাহিনীর পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।
এবারের ইজতেমায় এ পর্যন্ত তিনজন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। গত বুধবার দুজন ও বৃহস্পতিবার একজন মুসল্লির মৃত্যু হয়। তারা হলেন- ইউনুছ মিয়া (৬০), জামান (৪০) ও আব্দুস সাত্তার (৭০)। এদের মধ্যে ইউনুছ মিয়ার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানায়, জামানের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় এবং আব্দুস সাত্তারের বাড়ি নেত্রকোণা জেলায়। তিনজনই বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেছেন বলে জানা গেছে।
